সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অনিয়ম দূর্নীতি ঢাকতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা : বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অভিনব প্রতিবাদ

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকে অভিনব প্রতিবাদ, অনিয়ম দূর্নীতি ঢাকতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক কেলেংকারী এবং বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় ও দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রকাশ করছেন, এ যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্ঠা।
এতে কোম্পানির অর্থ তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের অস্থাভাজন হিসাবে ব্যবস্থাপন পদ বাগিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর কোম্পানীর টাকা খরচ করে স্বদলবলে চায়নায় ভ্রমণ, কোম্পানীর এফডিআর, বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে জমা রাখা আউটসোর্সিং এর জনবল নিয়োগ, সিএসআর ফান্ড এর টাকা অপব্যবহার সহ বার্ষিক সাধারণ সভার কেনা-কাটার নানা অনিয়মের খবর একটি দৈনিকে প্রকাশিত হলে পেট্রোবাংলা এসব তদন্তে ০৭/১২/২০২৪খ্রি. তারিখে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক জিএম বর্তমানে পেট্রোবাংলার ডাইরেক্টর আব্দুল মান্নান পাটোয়ারীকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। দুদকও তদন্তে নামে, কিন্তু ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি বলে তদন্ত কমিটির আহবায়কের সাথে কথা বলে জানা গেছে। কেন এখনও তদন্ত শেষ হয়নি এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নান পাটোয়ারীকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কয়লা খনির এমডি প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে তার নির্দেশে কয়লা খনির অর্থ অপচয় করে ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সূত্র নং-বিসিএমসিএল/এসএন্ডএমপি/২০২৫/১০/৪৪, তারিখ: ১৭/০২/২০২৫খ্রি. তারিখে পত্র বলে কোম্পানীর কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে কোম্পান ীর এমডি ও কয়লা খনির নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন, মানহাকির অভিযোগ উপস্থাপন/পরিবেশ করে আসছে। মর্মে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কোম্পানীর লোগে ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে অনিয়মের মাধ্যমে কোম্পানীর কয়েক লক্ষ টাকা অপচয় করেছেন।
এ ব্যপারে ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হয়, তাকে ঘটনা প্রবাহের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় কোন সংবাদের প্রতিবাদ পত্রিকায় ছাপানোর নিয়ম জানেন কি না? তিনি জানেন না বলে জানান। ব্যক্তি এমডির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে কোম্পানীর হয়ে আপনি প্রতিবাদ ছাপালেন এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলার অনুমোদন আছে কিনা? তিনি এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে জানান, এমডি স্যারের নির্দেশে তিনি এই বিজ্ঞাপন ছাপানোর ব্যবস্থা করেছেন। বিজ্ঞাপন বাবদ কত টাকা খরচ হয়েছে এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
কয়লা খনির এমডি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের মতামত নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন গ্রহণ করেননি। এদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লি. এর এমডি’র বিরুদ্ধে দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ কল্পে মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডলের পাঠানো ১০/০২/২০২৫খ্রি. তারিখের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, আইন শাখা থেকে ১৯/০২/২০২৫খ্রি. তারিখে সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম স্মারক নং-২৮.০০.০০০০.০৪২.০৪.০০৩.২৪.৮৫ তে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বরাবর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। দূর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে জোবায়দুর রহমান অভিযোগ করলেও অদ্যবধি আজ পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলামের কিছুই হচ্ছেনা? এতে মনে হচ্ছে আমলারা তার পদকে আটকিয়ে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা খনিটিকে বাঁচাতে দ্রæত তার সব বিষয়ে তদন্ত করে অপসারণ করলে খনিটির ভবিষ্যৎ ভাল হবে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন।

Views
CATEGORIES