দিনাজপুর ৪ আসনে বিএনপিকে দ্বিধাবিভক্ত করার চেষ্টায়, রক্ত¶য়ী সংঘর্ষের আশংকা


মোরশেদ উল আলম, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর ৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে বিএনপিকে দ্বিধাবিভক্ত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক কর্ণেলের বিএনপির রাজনীতিতে আবির্ভাব হওয়ায় মামলা হামলায় জর্জরিত তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নানান প্রশ্নের উদ্রেক হওয়াসহ তীব্র ¶োভ বিরাজ করছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আওয়ামী সরকারের আমলে চাকুরীতে প্রমোশনসহ মন্ত্রী-এমপিদের সাথে ঘনিষ্টভাবে মিশে সকল প্রকার সুবিধা নিয়ে তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ হওয়ার কারনে ও সাবেক এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সুপারীশে চাকুরীতে ৫ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে ২০২২ সালে পুরোপুরি অবসরগ্রহন করেন। এরপর তৎকালিন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত রাখেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বড়ভাই বিএনপি নেতার হাত ধরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি হন। তাঁর জন্মস্থান খানসামার দুহশুহ গ্রামে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ছাত্র জীবনে রুয়েট ছাত্রসংসদে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথেও জড়িত থেকে নির্বাচন করেন। তার ছোটভাই মাহফুজ চৌধূরী মাহবুব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপির আস্থাভাজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পরবর্তিতে বড়ভাই মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ বিএনপিতে যোগদান করেন। কিছুদিন পরেই ছোটভাই মৃত্যুবরণ করেন।
বিএনপির তৃণমূলের নেতা মোতাহার হোসেন, জিয়াউর রহমান, আকতার হোসেনসহ অনেক নেতা জানান, আওয়ামীলীগ ¶মতায় থাকা কালে অনেক মামলা, হামলা, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েও তৃণমূলে বিএনপির রাজনীতিকে ধরে রেখেছি। সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আখতারুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে তৃণমূলে বিএনপিকে তিল তিল করে শক্তিশালী করা হয়েছে। তাঁর প্রতি সকল নেতাকর্মী একত্রিত। নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ঠিক এমনি অবস্থায় হুট করে বিএনপিকে দুর্বল করার নেশায় মত্ত হয়ে ও দ্ব›দ্ব সৃষ্টি করার জন্য মাঠে নেমেছেন ওই আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্বে বিএনপির যে ভয়াবহ দিন গেছে, তখন তো তিনি এলাকার কারো বিপদে দাঁড়াননি। আমরা বিএনপির তৃণমুলের নেতা কর্মীরা কোনভাবেই এটা মেনে নেব না।
এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্য নিতে ফেসবুক মেসেঞ্জোরে অনুরোধসহ বিভিন্নভাবে অনেকবার
যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দিনাজপুর ৪ আসনে এভাবে হঠাৎ করে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আগমনে এ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের সুবিধা নেয়া ব্যাক্তি বর্তমানে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় বিএনপির তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
২ Views