বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটেছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এমন বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার প্রতিবাদ প্রেস উইংয়ের


পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (ঢাকা): দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ আরও কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটেছে বা অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে বলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্প প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা কেবল অসত্য নয়, এটি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনও বটে। এ ধরনের মিথ্যাচার কৌশল আঞ্চলিক সম্পর্কের নীতির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এবং একই সঙ্গে এসব সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করে।
আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদ পত্রে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ, যার শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীও রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করেছে এবং জাতীয় স্বার্থ, জনগণের নিরাপত্তা ও সংবিধান রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। এই ধরনের স্পর্শকাতর প্রতিবেদনে বাস্তব প্রমাণের একেবারেই অভাব রয়েছে। এই রিপোর্টটি এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে সত্যের চেয়ে কল্পনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যা আঞ্চলিক সহযোগিতার মনোভাবের ক্ষতি করে।
প্রেস উইং মনে করে, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলো শুধু মাত্র সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে বিপন্ন করছে না, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনাও সৃষ্টি করছে। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণ আতঙ্ক সৃষ্টি ও বিভাজনমূলক প্রচারণার শিকার কেন হবে। সংবাদমাধ্যমগুলোকে অবশ্যই সাংবাদিকতার নৈতিক মান বজায় রাখা ও তথ্য যাচাই করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতি করে এমন ভিত্তিহীন প্রতিবেদন থেকে বিরত থাকা জরুরি।
মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এমন সব সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রেস উইং বলেছে, তারা যেন মিথ্যা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ও সংশোধনী প্রকাশ করে এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। যদি এই ধরনের প্রোপাগান্ডামূলক প্রচারণার একমাত্র উদ্দেশ্য বিভেদ সৃষ্টি করা হয়, তবে উভয় দেশের উচিত এ ধরনের প্রচেষ্টাকে সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান, নিন্দা ও অগ্রাহ্য করা। মুক্ত মতপ্রকাশের নামে এমন প্রোপাগান্ডাকে উপেক্ষা করা চরম বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।
৪ Views