বিরামপুরের মানবিক ইউএনও পরিমলের দেখানো রাস্তায় মোস্তাকিম সাউথ এশিয়া রিজিওনালে ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন !


স্টাফ রিপোটার : দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার পৌর শহরের পূর্বপাড়ার ছেলে মোস্তাকিম হোসেন। সে সাউথ এশিয়া রিজিওনাল জুনিয়র ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২২ (অনুর্ধ্ব-১৫) গৌহাটি,আসাম,ইন্ডিয়াতে ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১০টি দেশের প্রতিযোগীরা এ খেলায় অংশ নিয়েছিল। মোস্তাকিমরা শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শনিবার ১অক্টোবর চ্যাম্পিয়ন হবার এই গৌরব অর্জন করেছে। খেলায় তার সহযোগী ছিলেন সিলেটে গালিব। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার এর নজরে পরে সে। আর ছেলেটির প্রতিভার আগুন আঁচ করতে পারেন অত্যন্ত নিরহংকার ও মানবিক ইউএনও খ্যাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার। তিনি মোস্তাকিমকে এগিয়ে যাবার রাস্তা দেখান।
ব্যাডমিন্টন তার প্রাণের স্পন্দন। কিন্তু সমস্যা হলো সাংসারিক টানা-পোড়েন। গরীব ঘরে জন্ম হলেও ব্যাডমিন্টন খেলায় দারুণ পারদর্শী সে। স্বপ্ন ছিলো একজন নামকরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হবে সে। কিন্তু নড়বড়ে সাংসারিক অবস্থা তার সেই স্বপ্নের পথে কাঁটার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।
মোস্তাকিমের বাবা পেশায় রিক্সা চালক, মা সংসারের কাজ সামলানোর পাশাপাশি বাইরে টুকটাক কাজ করে সামান্য টাকা আয় করেন। সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকলেও সুযোগ পেলেই ব্যাডমিন্টন খেলতে ছুটে যেতো মোস্তাকিম বিরামপুর ব্যাডমিন্টন একাডেমির মাঠে। সেখানে সিনিয়র খেলোয়ারদের সাথে সে অনুশিলন করতো।
এভাবেই একদিন খেলতে গিয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার এর নজরে পরে সে। আর ছেলেটির প্রতিভার আগুন আঁচ করতে পারেন অত্যন্ত নিরহংকার ও মানবিক ইউএনও খ্যাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার। তিনি মোস্তাকিমকে এগিয়ে যাবার রাস্তা দেখান। সেই সাথে আর্থিক সহযোগিতা সহ মাথার উপর অনুপ্রেরনার ছায়া হয়ে দাঁড়ান তিনি। আর এই অনুপ্রেরণার শক্তিতেই স্বপ্ন জয়ের যুদ্ধে অগ্রগামী পথিক হয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মোস্তাকিম। মোস্তাকিমের এই এগিয়ে যাওয়া এবং অনন্য প্রাপ্তিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত ইউএনও পরিমল কুমার সরকার। মোস্তাকিম শুধু দেশের নামই নয়, বিরামপুরের নামও উজ্জ্বল করেছে। তাই এই খুশির খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ইউএনও পরিমল কুমার সরকার মোস্তাকিমকে বিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে তার ফেসবুক একাউন্টে একটি আনন্দঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেই সাথে মোস্তাকিম যেন আরও অনেকদূর এগিয়ে যায় সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন।
মোস্তাকিমকে বিরামপুর ব্যাডমিন্টন একাডেমির সদস্য হওয়ায় তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা ও ঢাকায় অনুশিলনের অনুপ্রেরনা দিয়েছেন বিরামপুর ব্যাডমিন্টন একাডেমির সভাপতি সাহিনুর আলম শানু ও সাধারন সম্পাদক রোকনুজামান দুলাল সহ সদস্যরা।
মোস্তাকিমের পিতা মুন্নার হাতে ইউএনও পরিমল কুমার সরকার ১০হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। তিনি বলেন, চ্যাম্পিয়ন হবার খবর শুনে আমি খুশী হয়েছি। ইউএনও হিসেবে অনেক মানুষের মাঝেই সরকারি সহায়তা দিয়েছি, কিন্তু ঐ আমার চাকুরী জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন হিসেবেই মনে করছি। মোস্তাকিমের মত ছেলেরা সামান্য সুযোগ পেলেই নিজের দেশের লাল-সবুজ পতাকা বিদেশের মাটিতে সাফল্যের সাথে উড়াতে পারে।
১৩৪ Views