বিরামপুরে ফলন ভাল পাওয়ায় খুশি ধানচাষীগন : উৎপাদিত ১লক্ষ ৩১০ মেট্রিক টন : মূল্য প্রায় ৩শত ৩১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা


মোরশেদ মানিক : বিরামপুরে কৃষি দপ্তরের আয়োজনে ধান কাটার শুভ উদ্বোধনের পর চলছে ফসলের মাঠে ও বাড়ীতে নানা উৎসবের আয়োজন। এবারে আমনধান চাষীরা উপজেলা কৃষি দপ্তরের সার্বিক পরামর্শ নেওয়ায়, রোগবালাই কম হয়েছে এবং ফলন ভাল হয়েছে। ভাল ফলন পাওয়ায় চাষীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, এবার আমন রোপনের লক্ষমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৪শত ৪৫ হেক্টর জমিতে, লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কৃষি দপ্তরের সম্মিলিত দেখাশুনার ফলে এবার রোগ-বালাই না থাকায় ভাল ফলন পাচ্ছে। কৃষকদের খুশিতে তারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, বলেছেন চাষীরা এবার যথাযথ নিয়ম মেনে ধান চাষ করায় ফলন ভালো পেয়েছেন। তিনি উত্তরবাংলা’কে জানান, এবার প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ৫.৭৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করেছেন ধান চাষীগন। ১৭ হাজার ৪শত ৪৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত প্রায় ১লক্ষ ৩১০ মেট্রিক টন ধানের সরকারী বাজার মূল্য প্রায় ৩শত ৩১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (বীজ-সার ও উপকরন বিতরন এবং সেচ মনিটরিং কমিটির সভাপতি) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, কৃষকদের মঙ্গলে কৃষি দপ্তরকে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। কৃষকগন যথাযথ নিয়ম মেনে ফসল উৎপাদন করায় ফলন ভাল পেয়েছেন। সকলে এধারা অব্যাহত রাখবেন; এমনটা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ইউএনও।
বিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ.এইচ.এম তৌহিদুল্লাহ জানান, এবার প্রতিকেজি আমন ধানের ক্রয় মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৩৩ টাকা। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে ১হাজার ১শত ৯৮ মেট্রিকটন ধান ক্রয়ের।
শম্পাকাটারি ধান কাটা শুরু হয়েছে বিনাইল ইউনিয়নের চাপড়া,অচিন্তপুর, বানোড়া, আয়ড়া, হেমড়া সহ কয়েকটি গ্রামে, জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বাদশা।
জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার ইউনিয়নের সব গ্রামে শম্পা কাটারি ও কয়েক জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় গ্রামে গ্রামে বইছে খুশির বন্যা।
মুকুন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, তার এলাকায় সীমিত আকারে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
মুকুন্দপুর ইউনিয়নের ধানচাষী জুলফিকার জানান, ফলন ভালই হয়েছে। এবারে উপজেলা কৃষি দপ্তর ফসলের মাঠে এসে খোজ নেওয়ায় রোগ-বালাই একেবারে ছিল না, ভাই ভাল ফলন পাচ্ছি।
আমন ধান কেটে ঘরে তোলা ও নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের পাশাপাশি গ্রামীন নারীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। নতুন ধানের চাল থেকে তৈরি ক্ষীর-পায়েস ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের মাধ্যমে দিনাজপুর অঞ্চলে পালিত হয় নবান্ন উৎসব।
শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বন্যার প্রভাব পড়েইনি। কৃষি দপ্তরের ফসলের মাঠ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষনে রোগবালাই মুক্ত হওয়ায়, ধানের উৎপাদন বেড়েছে। এমনটা ধারনা ধান চাষীদের।
৬৩ Views
CATEGORIES Uncategorized