শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খানসামায় প্রায় ৫ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম

খানসামায় প্রায় ৫ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম

মোরশেদ উল আলম, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৫ কেজি ওজনের এক নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক বধূ। হাসপাতালের চিকিৎসক ও মিডওয়াইফদের ভাষ্য মতে, স্বাভাবিক গড় ওজনের তুলনায় ওই শিশুর ওজন বেশি। নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ আছে।
গত ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেবার ওয়ার্ডে কর্মরত মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
জানা গেছে, প্রসব ব্যাথা নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার পূর্ব হাসিমপুর গ্রামের পালোয়ানপাড়ার মোতালেব হোসেনের স্ত্রী শরিফা খাতুন (২৯) পাকেরাহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে কর্মরত মিডওয়াইফ-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের (নরমাল ডেলিভারি) মাধ্যমে ওই প্রসূতি মায়ের তৃতীয় বাচ্চার প্রসব হয়। এ ছেলে সন্তানের ওজন হয় ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম। ইতিপূর্বে ওই প্রসূতি মা দুইটি মেয়ে সন্তানও স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম দেন। জন্মের সময় তাঁদেরও ওজন ছিল ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি।
প্রসূতি মা শরিফা খাতুন বলেন, এ সবই মহান আল্লাহর ইচ্ছা। আগের বাচ্চাগুলোও নরমাল ডেলিভারিতে প্রসব হয়েছে। সেগুলোর ওজনও ছিল প্রায় ৩-৪ কেজি। আর আজ (রবিবার) জন্ম নেয়া ছেলে সন্তানের ওজন প্রায় ৫ কেজি। আল্লাহর রহমতে বাচ্চাসহ আমি সুস্থ আছি।
কর্তব্যরত মিডওয়াইফ মোছা. রুনা লায়লা বলেন, জীবনে প্রথমবার সর্বোচ্চ ওজনের বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি করালাম। মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে। মহান আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নরমাল ডেলিভারির প্রতি ওই প্রসূতি মায়ের দৃঢ়তা ও আস্থার ফলে আমাদের কাজ সহজ হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ৪ কেজি বা ৮ পাউন্ডের বেশি ওজনের বাচ্চাদের বলা হয় ফিটাল ম্যাক্রোসোমিয়া। শিশুর মা-বাবা ডায়াবেটিক আক্রান্ত অথবা মা-বাবার বেশি ওজন হলে শিশুর এমন ওজন হতে পারে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম নেয়া ওই নবজাতকের মা-বাবার এমন ছিল না। নরমাল ডেলিভারিতে এমন সন্তান প্রসবে ঝুঁকি থাকলেও প্রসূতি মায়ের ইচ্ছা ও সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে প্রায় ৫ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম হয়েছে। বর্তমানে প্রসূতি মা-শিশু সুস্থ আছে। আমরা তাঁদের প্রতি খেয়াল রাখছি।

৩৪ Views
CATEGORIES

COMMENTS