স্কুলগুলো কার্যকরভাবে চালাতে পারলে ছাত্রের অভাব থাকবে না : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা


পজিটিভ বিডি ২৪ডট নিউজ (ঢাকা): প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, স্কুলগুলো কার্যকরভাবে চালাতে পারলে ছাত্রের অভাব থাকবে না। শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষকদের কাজ পড়াশোনা শেখানো। প্রাথমিকে দুর্বল হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় পিছিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, পড়াশোনার মানোন্নয়ন ঘটাতে প্রাথমিক শিক্ষায় জোর দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার মানোন্নয়ন করা। অবকাঠামো ও অন্যান্য কাজগুলো চলমান থাকবে। আমাদের টার্গেট এক শিফটে স্কুল চলবে। অবকাঠামো বাড়ানো, শিক্ষকদের সমন্বয় করা, কারিকুলামের বিষয় এবং চরাঞ্চলের শিক্ষকদের জন্য লাগসই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রজেক্টের নামে যেন টাকা পয়সার অপচয় না হয়।
উপদেষ্টা আজ বরিশালের সাগরদীস্থ পিটিআই-এ প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বরিশাল জেলার বিভিন্ন অংশিজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আল ইমরান খন্দকার।
উপদেষ্টা বলেন, কর্মঘণ্টা ঠিক রেখে প্রধান শিক্ষকরা রুটিন মডিফাই করতে পারবেন। লোকাল বিষয়গুলো লোকালই সমাধান করবেন। প্রি-সার্ভিস ট্রেনিং এর বিষয়ে কাজ চলছে। শিগগিরই প্রি-সার্ভিস ট্রেনিং কোর্স চালু করব। শিক্ষক নিয়োগের পর ট্রেনিংয়ে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। পিটিআই এর সক্ষমতা আছে। সেখানে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে পারব। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক একটি মূল ইউনিট। আমরা সহায়তা করি। স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় শিক্ষকদের অন্য কাজে কম নিয়োগ করা যায় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানাব।
বিধান রঞ্জন বলেন, শিশুদের ভাষা সাক্ষরতা, প্রাথমিক জ্ঞান, পড়তে, লিখতে, বলতে পারা, গণিত ইত্যাদি শেখাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যে সমস্ত স্কুল ভালো করবে তাদেরকে আমরা পুরস্কৃত করবো। যারা খারাপ করবে তাদেরকে তিরস্কার ও জবাবদিহিতার আওতায় আনবো।
মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর, এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীরা অংশ নেয়।
১২ Views